কেপ্টাউন টেস্টের পর ভারতের ক্রিকেট নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সব সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুই যেন বিরাট কোহলি। এরই মধ্যে ভারতের ইতিহাসে অভিন্ন ফরম্যাটেই অধিনায়কের সৃষ্টি। কোহলির টেস্ট এর অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর থেকেই সাবেক ক্রিকেটারদের প্রশংসায় ভাসছেন বিরাট কোহলি। অধিনায়ক কোহলির অর্জনের প্রতি সম্মান জানাচ্ছেন সকলেই, জানাচ্ছেন ভবিষ্যৎের জন্য শুভকামনাও। এদিকে কোপিল দেব জানিয়েছেন, অহংকার ঝেড়ে ফেলে মাঠে নামলেই সফল হতে পারবেন কোহলি।
দীর্ঘ সময় পরে অধিনায়কত্ব ছেড়ে ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামাটা কোহলির জন্য কিছুটা কঠিনই হওয়ার কথা। তবে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেবের মতে, অহংকার ঝেড়ে ফেলে মাঠে নামলেই সফল হতে পারবেন কোহলি। ব্যাটার কোহলির ওপর এখনো অনেক বেশি ভরসা কপিলের। কপিল জানান, ‘সুনীল গাভাস্কারও তো আমার নেতৃত্বে খেলেছে। আমি কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত এবং মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের অধিনায়কত্বে খেলেছি। আমার কোনো ধরনের অহংকার ছিল না। বিরাটকে নিজের অহংকার ত্যাগ করে তরুণ ক্রিকেটারের নেতৃত্বে খেলতে হবে, যা তাকে ও ভারতীয় ক্রিকেটকে সাহায্য করবে।’ কপিল আরও জানান, ‘বিরাটের উচিত নতুন অধিনায়ক ও নতুন ক্রিকেটারদের পথ নির্দেশনা দেওয়া। আমরা ব্যাটার বিরাটকে হারাতে পারি না, কোনোভাবেই না।’
কপিলের মতে, ‘কোহলির টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর থেকেই সে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে তাকে চিন্তিত দেখা গেছে, অনেক চাপে আছে বলেও মনে হয়েছে। তাই চাপমুক্তভাবে খেলার জন্য অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া ছিল একটি উপায়। সেজন্যই সে এই পথ বেছে নিয়েছে।’ কোহলির সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেছেন কপিল। তাকে শুভকামনা জানাতেও ভুলেননি ভারতের বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। কপিল জানান, ‘সে পরিণত ছেলে। আমি নিশ্চিত এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই অনেক ভেবেছে সে। হয়তো সে অধিনায়কত্বটাকে আর উপভোগ করছিল না। আমাদের তাকে সমর্থন করতে হবে এবং শুভ কামনা জানাতে হবে।’
কোহলির অধিবায়ক হিসেবে সফলতার খাতা অনেক। যেখানে তিনি সাফল্য হতাশা দুটই পেয়েছেন। ৯৯টি টেস্টের ক্যারিয়ারে ৬৮টি ম্যাচেই ভারতের অধিনায়ক ছিলেন কোহলি। জয় পেয়েছেন ৪০টিতে, হার ১৭টি এবং ড্র হয়েছে ১১টি ম্যাচ। তার অধীনে লম্বা সময় টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানেও ছিল ভারত, খেলেছে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালেও। নতুন টেস্ট অধিনায়কের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো ঘোষণা দেয়নি বিসিসিআই।