এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ তথা আইপিএলের মেগা নিলামে মোট ৬০০ জন ক্রিকেটারের ভাগ্য পরীক্ষা হচ্ছে। যার মধ্যে শনিবার দল পেয়ে গেলেন প্রথম সারির বেশির ভাগ দেশী ও বিদেশী তারকা। বেলা ১২টায় শুরু হওয়া নিলাম চলল রাত ৯টা পর্যন্ত। আর এই দীর্ঘ সময়েই বেশ কিছু অপ্রত্যাশিত ফলের সাক্ষী রইলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কী রকম? আসলে যে সব ক্রিকেটার বিরাট অর্থে বিক্রি হবেন বলে মনে করা হয়েছিল, তারা তত দাম পেলেন না। আবার ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির মধ্যে দড়ি টানাটানির জেরে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক চড়া দামে বিক্রি হলেন কয়েকজন তারকা। আবার আইপিএলের নজরকাড়া একাধিক তারকা শনিবারের নিলাম শেষে রয়ে গেলেন অবিক্রিত।
আইপিএলের গত আসরে দিল্লি ক্যাপিট্যালসের হয়ে দারুণ পারফর্ম করেন ভারতীয় পেসার আবেশ খান। ভারতের জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া এই পেসার ১৬ ম্যাচে ২৪ উইকেট নেন। এমন তাক লাগানো পারফরম্যান্সের পরও এবারের আইপিএলের মেগা নিলামে তার ভিত্তিমূল্য দেওয়া হয় মাত্র ২০ লাখ রুপি। কিন্তু নিলামে ঠিকই তার কদর করল ফ্রাঞ্চাইজিরা। অনভিষিক্ত ভারতীয়র মুসলিম ক্রিকেটারকে ১০ কোটি রুপিতে কিনেছে নতুন ফ্রাঞ্চাইজি লখনৌ সুপার জায়ান্ট।
ভিত্তিমূল্যের পঞ্চাশ গুণ বেশি মূল্যে বিক্রি হয়েছেন ২৫ বছর বয়সি এ পেসার। তাতে ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন পুরদস্তুর।আইপিএলের ইতিহাসে আভেশ খানই এখন অনভিষিক্ত খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে দামি। এতোদিন ধরে রেকর্ডটি ছিল কৃষ্ণাপ্পা গোথামের দখলে। গত আসরের নিলামে ৯ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে তাকে কিনেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। গত আসরের সেরা বোলারদের অন্যতম এ মুসলিম ক্রিকেটারের এতো দাম পাওয়ার কারণ তাকে নিয়ে ফ্রাঞ্চাইদের কাড়াকাড়ি।
শুরুতে আবেশকে ২০ লাখেই প্রথম ডাকট দিয়েছিল চেন্নাই। সেখান থেকে দাম বাড়ায় লখনৌ। যোগ দেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কোটির উপর দাম উঠে গেলে সরে দাঁড়ায় চেন্নাই। কিন্তু লড়াই চালিয়ে যায় মুম্বাই ও লখনৌ। এ দুই দলের কাড়াকাড়িতে তার দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৮ কোটি রুপি। একপর্যায়ে চতুর্থ দল হিসেবে এ লড়াইয়ে যোগ দেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তারা আভেশের দাম হাঁকায় ৯ কোটি ৭৫ লাখ রুপি। লখনৌ তখন আভেশের দাম ১০ কোটি রুপিতে নিয়ে ঠেকায়। এই ডাকের বিপরীতে আর কোনো ডাক দেয়নি হায়দরাবাদ। ফলে আবেশের ঠিকানা হয় লখনৌ।