বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার প্রথম টেস্টের ৫ম দিনে ১ ঘণ্টা বাকি থাকতে চট্টগ্রাম টেস্ট ফলাফল ড্র। শুরুতে জয়ের আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। আগামী ২৩ মে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ২য় এবং শেষ টেস্ট। তবে মোটামুটি খুশি দেশের ক্রিকেট ভক্তরা। কারণ এই টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। পাশাপাশি প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসাবে মুশফিক ছুঁয়েছেন ৫ হাজার রানের মাইলফলক । হাফ সেঞ্চুরি করেছে ২ ব্যাটসম্যান (মাহমুদুল হাসান জয় ও লিটন দাস)।
বল হাতে দুর্দান্ত কারিশমা দেখিয়েছেন সাকিব আল হাসান, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম। এর মধ্যে নাইম হাসান নিয়েছেন ৬ উইকেট। সবমিলিয়ে এই কয়েকজনের সম্মিলিত পারফরম্যান্সের জোরেই প্রথম টেস্ট ড্র করতে পেরেছে বাংলাদেশ দল। সবার এই সাফল্যের মাঝেও আছে কিছু ব্যর্থতার গল্প। নাজমুল হোসেন শান্ত ও টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক আউট হয়েছেন মাত্র ২ রান করে এবং বল হাতে সফল হতে পারেননি খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
বেশ কয়েক ম্যাচ ধরে মুমিনুলের ব্যাটে রান নেই। তবে এটা নিয়ে কোন রকম চিন্তিত না টেস্ট অধিনায়ক। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,’ সত্যি কথা বলতে আমার ব্যাটিং নিয়ে আমি অতোটা চিন্তিতও নই’।
জোড়ায় জোড়ায় উইকেট পড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দীর্ঘ দিনের একটা ব্যাটিং সমস্যা। শেষ ম্যাচেও যেটা দেখা গেছে। মাহমুদুল হাসান জয় ফেরার কিছুক্ষণ পরই আউট হন শান্ত ও মুমিনুল। আবার লিটন দাস আউটের পরের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তামিম ইকবাল।
জোড়ায় জোড়ায় উইকেট পড়া নিয়ে চিন্তিত কি না বাংলাদেশ দল ? এমন প্রশ্নের জবাবে মুমিনুল জানালেন,’একটা দলে ১১ জনের পারফর্ম করা কঠিন। যদি ১১ জনই ১০০ করে তাহলে তো রান ১১০০ হবে। আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেট খেলাটাই তো এরকম। হয় ২ জন পারফর্ম করবে বা তিনজন পারফর্ম করবে। যারা করবে তারা বড় করবে। দলগত ভাবে আমরা সবাই ভালো খেলতে পেরেছি এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’